শিশুর জন্মের পরের ৬ থেকে ৮ মাস বয়সের ভিতর শিশুর ওপরের ও নিচের মাড়িতে দুটি করে দাঁত ওঠে। এভাবে আড়াই বছর বয়স থেকে তিন বছর বয়স পর্যন্ত ওপরের এবং নীচের পাটি মিলিয়ে বাচ্চাদের সাধারণত ২০টি দাঁত গজায়।
অভিভাবকদের উচিত পাতলা ধরনের পরিস্কার কাপড় দিয়ে বাচ্চাদের দাঁত নিয়মিতভাবে পরিস্কার করে দেওয়া। এটা করলে দাঁতের রোগের সম্ভাবনা অনেকটাই কমবে।
আজকাল বাজারে বেবি ব্রাশ ও পেস্ট পাওয়া যাচ্ছে। এগুলো ব্যবহার করেও শিশুর দাঁত পরিস্কার করে দিতে পারেন অভিভাবকেরা।
এখন বাচ্চাদের স্পেশাল ব্রাশ পাওয়া যাচ্ছে যেটা অভিভাবক গ্লাভসের মত আঙ্গুলে পড়ে নিতে পারবেন। আর এটাতে ছোট সফট ব্রিসলও থাকে। এগুলো দিয়ে দাঁত ব্রাশ করে দেয়া সহজ। বাচ্চাদের চিনিযুক্ত খাবার খেতে দেয়া যাবে না। যে বাচ্চারা বটল ফিড করে তাদের ঘুমের মধ্যে ফিডার না দেয়াই ভাল, চিনি মুক্ত দুধ হলে কম ক্ষতি হয় । খাবার খাওয়ার পরে বাচ্চাদের পানি খাওয়ানো উচিৎ।
বাচ্চাদের স্থায়ী দাঁত ওঠা শুরু হয় ৬ বছর বয়স থেকে। এই সময়ে শিশুদের ওপরের ও নীচের পাটিতে স্থায়ী দাঁত তৈরি হয়। বাচ্চাদের দাঁত ওঠার বিভিন্ন পর্যায়ে অভিভাবকদের দাঁতের ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করাটা খুবই জরুরি।